বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, আমরা ধর্ষিত হয়েছি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও। সে সময় সুবর্ণচরে নারী ধর্ষণের ঘটনার বিচার হয়নি। দীর্ঘদিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই রাষ্ট্রে ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির বিচার হয় না। ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা শহীদুল হক বলেন, প্রতিবারই আমরা বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামি, তারপর টনক নড়ে। এবার নোয়াখালীর নারী ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ৩২ দিন আগের। এতদিন কিছুই হয়নি জড়িতদের। যখন বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, প্রতিবাদ শুরু হলো তখন টনক নড়ল। ধর্ষক গ্রেপ্তার হলো। এই গ্রেপ্তারদের ছবি কাদের সাথে দেখা যায়, সরকারদলীয় লোকজন, স্থানীয় এমপির সাথে। আমরা মানবিক রাষ্ট্র চাই। মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় মানবিক পুলিশ চাই। তিনি বলেন, এই ক্ষমতা বেশিদিন থাকবে না। ওয়াদা করছি, গুম-খুন-ধর্ষণের সরকারকে আমরা টেনে নামাব।
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, ধর্ষণের প্রোগ্রামে হামলা এর চেয়ে বড় দুঃখজনক আর হতে পারে না। আমরা ধর্ষণের প্রতিবাদ করি আর আমাদের বিভিন্ন মামলা-হামলার হুমকি দেয়। আজ নারায়ণগঞ্জে আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। যার জন্য সারা বাংলাদেশের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে কোনো ধর্ষকের বিচরণ নেই। সম্প্রতি বেশ কিছু ধর্ষণ নির্যাতনের ঘটনা দেশব্যাপী তোলপাড় তৈরি করেছে। সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের রেশ এখনো কাটেনি। এরইমধ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয় গতকাল। যদিও ঘটনাটি মাসখানেক আগের। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে ৯ আসামির বিরুদ্ধে। তাদের চার জনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Share this content: